যে কারণে ইউক্রেনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে মরিয়া রাশিয়া
প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
সব শঙ্কাকে সত্যিতে রুপ দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে রাশিয়া। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে কিছুদিন ধরে প্রচার করা হচ্ছিলো, শীঘ্রই যুদ্ধ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে প্রতিবেশি দুই দেশ ইউক্রেন এবং রাশিয়া। কিন্তু কেন রাশিয়া এই ধরনের পদক্ষেপের পথে হাঁটছে?
বস্তুত ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পরে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও ইউক্রেন বৈশ্বিক আলোচনায় আসে ২০১৩ সালের দিকে। ওই বছর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের সরকার ইউক্রেন-ইউরোপীয় ইউনিয়ন অ্যাসোসিয়েশন চুক্তি স্থগিত করে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ‘ইউরোমাইদান’ নামে বিক্ষোভ দানা বাঁধে। এই বিপ্লবটা ইয়ানুকোভিচের উৎখাত এবং একটি নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার দিকে ধাবিত করে। ২০১৪ সালে ইয়ানুকোভিচের পতনের পর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ক্ষমতায় আসেন। প্রসঙ্গত, ইয়ানুকোভিচ রাশিয়াপন্থি, অপরদিকে জেলেনস্কি অনেকটা পশ্চিমা-ঘেঁষা মার্কিনপন্থি হিসেবে পরিচিত।
২০১৪ সালে জেলেনস্কি ক্ষমতায় আসার পরে রাশিয়া রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এমনকি নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে যায়। তবে ইয়ানুকোভিচের পতনের পর জেলেনস্কি ক্ষমতা এলেও বিদ্রোহীদের দমনে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পড়তে হয়। বিশেষ করে পশ্চিম অঞ্চলে দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক এলাকায় যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যায় সরকার এবং বিদ্রোহীরা। এই বিদ্রোহীদের শুরু থেকেই সমর্থন দিয়ে আসছিল রাশিয়া।
চলমান সংঘাতের মধ্যে রাশিয়া দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চল স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে রাশিয়ান বাহিনীকে অবস্থানের নির্দেশ দেন পুতিন। মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে যায় জেলেনস্কি এবং পুতিনের বিরোধ। এরই মধ্যে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে নিজেদের অংশ দাবি করে রাশিয়া দখল করে। এই বিষয়টিও ভাবিয়ে তোলে জেলেনস্কিকে। জেলেনস্কি পশ্চিমাদের সমর্থনপুষ্ট থাকায় ইউক্রেনকে রাশিয়ার প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিশেষত ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে জোর দিতে থাকে। ন্যাটো ঘিরে রাশিয়ার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধের বিষয়টি বিশ্ব সব সময় লক্ষ্য করে আসছে। এই ন্যাটো জোটে অংশগ্রহণকে রাশিয়া তাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে পশ্চিমাদের সরাসরি সামরিক বাহিনীদের প্রাধান্য পাবে বলে মনে করে।
এই নিরাপত্তার বিষয়ের বাইরেও ইউক্রেন ও ক্রিমিয়া ঘিরে রাশিয়ার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব অনেক বেশি। রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের পেছনে সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে পানি ও বন্দরের বিষয়টি। ক্রিমিয়ার সেভেস্তাপোল বন্দরটি বাল্টিক সাগরে রাশিয়াকে প্রবেশ এবং সারা বছর উষ্ণ গরম পানি পাওয়ার উৎসের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটি যদি হাতছাড়া হয়ে যায় তবে বাল্টিক সাগরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারে রাশিয়া। বন্দর ছাড়াও ক্রিমিয়া প্রায় ২০০ বছর রাশিয়ার অংশে ছিল এবং সেখানকার জনগণ জাতিগতভাবে রুশ। ১৯৫৪ সালে সোভিয়েত নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভ ক্রিমিয়াকে তৎকালীন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র ইউক্রেনের হাতে হস্তান্তর করে। তখন নিশ্চয়ই ভাবনায় ছিল না, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যেতে পারে এমনকি রাশিয়া নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে। এ ছাড়া ন্যাটোর মতো সামরিক জোটের সদস্য হওয়ার চেষ্টা করতে পারে ইউক্রেন।
২০১৪ সালের পর থেকে ইউক্রেন রাশিয়ার হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে এমন চিন্তা চেপে বসে পুতিনের মাথায়। রাশিয়ার ভাবনায় থাকা অস্বাভাবিক নয়, ইউক্রেন ন্যাটো জোটে গেলে সেটা রাশিয়ার ভূখণ্ডে সংঘাত ঘটানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করার ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের অনেকটা সুবিধা হতে পারে। তাই এই অঞ্চলে ন্যাটোর উপস্থিতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৯০ সালের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ বলেও অবহিত করে রাশিয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চুক্তি ভঙ্গের বিষয়ে অস্বীকার করে বলা হচ্ছে, ন্যাটো একটি আত্মপ্রতিরক্ষামূলক সামরিক জোট এবং রাশিয়ার সীমান্তবর্তী খুব কম দেশই এই জোটের সদস্য।
ইউক্রেন যেন কোনোভাবেই ন্যাটোর সদস্য না হয়, সেই দিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে রাশিয়া। ইতিহাসে যতবার রাশিয়া বাইরের দেশের আক্রমণের শিকার হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই ছিল উত্তর ইউরোপ থেকে। এ কারণেই রাশিয়া কোনোভাবেই চাইবে না তাদের খুব কাছে ন্যাটোর মতো পশ্চিমা সামরিক জোটের উপস্থিতি থাকুক।
অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়ায় পরমাণু শক্তির পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হলো গ্যাস। সমগ্র ইউরোপের তেল এবং গ্যাসের চাহিদার ২৫ শতাংশ আসে রাশিয়া থেকে। লাটভিয়া, এস্তোনিয়ার মতো দেশগুলো গ্যাসের জন্য শতভাগ রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। জার্মানির ৫০ শতাংশ গ্যাস আসে রাশিয়া থেকে। এই ইউরোপের দেশগুলোতে গ্যাস সরবরাহের জন্য ইউক্রেনকে প্রবেশদ্বার বলা হয়ে থেকে। রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহের প্রায় ৪০ শতাংশ পাইপলাইন গেছে ইউক্রেনের মধ্য দিয়ে। তাই ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়া বিকল্পভাবে ইউক্রেনকে পাশ কাটিয়ে বাল্টিক সাগরের তলদেশ দিয়ে জার্মানিতে গ্যাস পাইপলাইন স্থাপন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এরইমধ্যেই এই প্রকল্পকে অগ্রগতিকে থামিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। কারণ, ভবিষ্যতে রাশিয়া গ্যাসকে ইউরোপে রাজনৈতিক প্রভাবের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
ইউক্রেন ঘিরে রাশিয়া এবং পশ্চিমাদের নিজেদের আন্তর্জাতিক প্রভাব ধরে রাখার জন্য পশ্চিমা এবং রাশিয়ার মধ্যে সংঘাতের বিষয়টি দেখছে বিশ্ব এবং বিশ্ব সংস্থা। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে রাশিয়াকে ইউক্রেনে যুদ্ধ না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে, মস্কো কোনো কিছুই গ্রাহ্য করছে না। কারণ, যেভাবেই হোক তাদের ইউক্রেনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে।
গণমাধ্যমের বরাতে জানা যাচ্ছে, শুক্রবারও কিয়েভে মুহুর্মুহু আক্রমণ চালাচ্ছে রাশিয়া। এমনকি ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া তাদের রাজধানী কিয়েভে রকেট হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ন্যাটো থেকে পূর্ব ইউরোপে স্থল এবং বিমানবাহিনী বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। ইউরো-আটলান্টিক সাগরের নিরাপত্তার জন্য নৌবাহিনী মোতায়েন করতে যাচ্ছে পশ্চিমা গোষ্ঠী। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কায় লাখ লাখ মানুষ ইউক্রেন ত্যাগ করে সীমান্তবর্তী এলাকা বা পাশ্ববর্তী দেশে চলে যাচ্ছে। ইউক্রেনকে ঘিরে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, যেন বিশ্ব তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে!
– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –- কখন আঘাত হানবে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় রোমাল, জানা গেল
- ভাঙ্গা থেকে যশোর নতুন রেললাইন চালু অক্টোবরে: রেলমন্ত্রী
- গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা, নিহত অন্তত ১৭
- ‘একটি জাল ভোট পড়লেও কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে’
- সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই: পাটমন্ত্রী
- টেকসই নগরায়ণে সরকার বদ্ধপরিকর: এলজিআরডিমন্ত্রী
- ঢাকা আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে টানা ৫০ বছর ধরে রোজা রাখা সেই দিনমজুরের
- মধ্যরাতে পুড়ল ১১ দোকান, যেভাবে লাগে আগুন
- খড়ি শুকাতে গিয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর
- গোসল করে জুমার নামাজ পড়া হলো না মুরাদের
- শিরোপা জেতানোর দুদিন পরই বরখাস্ত হলেন কোচ
- একসঙ্গে ১০ জনকে চুমু, তিক্ত অভিজ্ঞতা জানালেন অ্যান হ্যাথাওয়ে
- জুমার নামাজের আগে দুই খুতবা দেওয়া হয় যেসব কারণে
- বেরোবিতে মাদক সেবনরত অবস্থায় ৪ শিক্ষার্থী আটক
- ৬ জুন বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো: প্রধানমন্ত্রী
- সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার হজযাত্রী
- জনগণকে আরো বেশি সেবা দিতে চায় পুলিশ: আইজিপি
- জার্মানিতে বাংলাদেশিদের জন্য দারুণ সুযোগ
- ‘সন্ত্রাস করলেই গ্রেফতার’
- সম্মিলিত চেষ্টায় আত্মহত্যা নিরসন করা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী সিমিন
- গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
- রাজশাহীর আম দেখতে আসবে চীনের প্রতিনিধিদল: কৃষিমন্ত্রী
- ঋণখেলাপি বিএনপির সময় বেশি ছিল: আইনমন্ত্রী
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আ’লীগ দেশকে এগিয়ে নেবে: প্রধানমন্ত্রী
- রাজারহাটে ২ জুয়ারী গ্রেপ্তার
- জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় আবৃত্তিতে প্রথম মাহির
- তালের শাঁসের যত স্বাস্থ্য উপকারিতা
- অবসরের ঘোষণা দিলেন সুনীল ছেত্রি ।
- সিনিয়র না হলে জয়কে থাপড়াতাম: মিষ্টি জান্নাত
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আবাসন সুবিধা পাবে
- চিলমারীতে পুকুরের পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু
- বড় দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ
- গরমকালে লাউ খাবেন যে কারণে
- ‘বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়’
- বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারতীয় খাদ্যপণ্য
- চীনের তিস্তা বহুমুখী প্রকল্পে কাজ করতে আগ্রহী ভারত
- রান তাড়ায় বিশ্বরেকর্ডের ম্যাচে আরো যত রেকর্ড
- ট্রেনের টিকিট এবার ভেন্ডিং মেশিনে, দাঁড়াতে হবে না লাইনে
- টেলিস্কোপ তৈরি করলো রাজারহাটের ফারাবী
- যে কারণে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ
- কুড়িগ্রামে বাংলার বৈশাখ, বাংলার নাচ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- ঘুম ঘুম চোখে চা দোকানে লরি উঠিয়ে দিলেন চালক, নিহত ২
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
- রাজিবপুরে ইসতিসকা নামাজ আদায় ও দোয়া প্রার্থনা
- ফুলবাড়ীতে দৃষ্টিনন্দন রিসোর্ট সেন্টারের উদ্ভোধন
- তাপপ্রবাহ কবে কমবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- বিড়ি কারখানায় স্বাস্থ্যঝুঁকি, জানেন না ৫৮% শ্রমিক
- ট্রেন সুবিধায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী