• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

কুড়িগ্রামে পানিবন্দি প্রায় ৩০ হাজার মানুষ

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২৩  

 
কুড়িগ্রামে দুধকুমার, ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রসহ সবকটি নদনদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দুধকুমার নদীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮ সে.মি ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও শুক্রবার সকালে তা নিচ দিয়ে বইছে। 

এ অবস্থায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টে এবং ধরলা নদীর সেতু পয়েন্টে পানি কিছুটা বেড়ে বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে গত পাঁচ দিনের উজানের ঢল ও অবিরাম বৃষ্টির কারণে নদনদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে মানুষ পানিবন্দি জীবন যাপন করছেন। গ্রামীণ সড়কে পানি ওঠা ও নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি ওঠায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। 

সদর, উলিপুর, চিলমারী ও নাগেশ্বরী এ চার উপজেলার নদী তীরবর্তী প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অনেক বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছে এসব মানুষজন। রাস্তাঘাট পানিতে থাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। কেউ কেউ  কলার ভেলা কিংবা নৌকায় চলাচল করছেন। এছাড়াও পানিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন রকমের সবজি, আমনের চারাসহ খেতের পাট।

অপরদিকে, দুধকুমার নদের পানির প্রবল স্রোতে নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গার মুড়িয়াবাজার সড়কের কিছু অংশ ভেঙে পানি প্রবেশ করা অংশটিতে অস্থায়ী মেরামত করা হলেও দুর্ভোগ কমেনি সেখানকার মানুষের। ওই সকল স্থানে মানুষজন অবস্থান করলেও পড়েছেন শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে। উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকার পূর্ব বালাডোবা, কালির আলগা, মুসারচর ও সদরের পোড়ার চরসহ ১০টি চরে বসবাসকারী দুই শতাধিক পরিবার ঘর বাড়ি ছেড়ে নৌকা ও উঁচু জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন। এই পরিবারগুলোর ঘর বাড়ি তলিয়ে থাকায় ঠিকমতো রান্না করতে পারছেন না। পাশাপাশি পরিবারগুলোর হাতে কোন কাজ না থাকায় শুকনো খাবার এবং নলকূপ তলিয়ে থাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন তারা। এদিকে নদ-নদীর অববাহিকার গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। জেলার প্রায় একশ’ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। চারণভূমি তলিয়ে থাকায় চরাঞ্চলগুলো গবাদি পশুর খাদ্য নিয়েও বিপাকে পড়েছেন বন্যা কবলিতরা। 

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ২৬টি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে প্রবল নদী ভাঙন। পাউবোর পক্ষ থেকে প্রতিরোধে বালুর বস্তা ফেলে চেষ্টা করা হচ্ছে। 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –