• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বাদাম বিক্রিতে চলে হাশেমের সংসার

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০২৩  

এবাদত কবুলের অন্যতম শর্ত হলো- ‘হালাল পথে উপার্জন’ -এই কথাকে স্মরণ করে প্রায় ১০ বছর ধরে ভাজা বাদাম ফেরি করে বিক্রি করছেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার পূর্ব-সুকাতি চাকিরকুটি নতুন বাজার এলাকার আবুল হাশেম। এই আয় দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন তিনি।

প্রতিদিন সকালে স্ত্রী লাইজু বেগম বাদাম ভেজে দেন। আর এই বাদাম নিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারের ফেরি করে বিক্রি করার জন্য ছুটে বেড়ান আবুল হাশেম। সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে ৫-৬ কেজি বাদাম বিক্রি করে আপন ঘরে ফিরে আসেন তিনি।

তিনি ভাজা বাদাম কুড়িগ্রামের ভিতরবন্দ, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ি বাজারে বিক্রি করে হালাল পথেই আয় করছেন মাসে ১৫ হাজার টাকা। এই উপার্জনের টাকায় চলছে তার সংসার।

আবুল হাশেম বলেন, আমি কওমি মাদরাসায় লেখাপড়া করেছি। এরপর মাদরাসা ও মসজিদের ইমামতি শুরু করি। ইমামতি করে মাসে ১ হাজার আর মাদরাসা থেকে মাসে ৫ হাজার টাকা পেতাম। এই আয় দিয়ে সংসার চালানো খুব কষ্ট হতো। তাই লোকলজ্জা ত্যাগ করে হালালভাবে উপার্জনের জন্য ভাজা বাদাম বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই। পরে কাঁচা বাদাম কিনে স্ত্রী লাইজু বেগমের সোহযোগিতায় ভাজা বাদাম বিক্রি শুরু করি।

তিনি আরো বলেন, ৩০০-৩৫০ টাকায় কেনা বাদাম আমি বাজারে প্রায় ৮০০ টাকায় বিক্রি করতে পারায় প্রথম দিনেই আমি বাদাম বিক্রিতেই আয় করি ৪০০ টাকা। হালাল পথে একদিনে ৪০০ টাকার আয় চোখে দেখতে পেয়ে আমি ঝুঁকে পড়ি বাদাম বিক্রিতে। বর্তমান ৫ কেজি কাঁচা বাদাম ৭০০ টাকায় কিনে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি। এতে আমার দৈনিক আয় হচ্ছে ৫০০ টাকা। মাস শেষে ১৫ হাজার টাকা ইনকাম হচ্ছে। 

তিনি বলেন, বাদাম বিক্রি করে মাসে আমার ১৫ হাজার টাকা আয় হওয়ায় আমাকে আর পেছনে তাকাতে হয় না। আমার কোনো ঋণ নেই। কেউ আমার কাছে একটি টাকাও পায় না। স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে আল্লাহ হালাল পথে আমাকে স্বচ্ছলভাবে সুখি জীবন চালাচ্ছেন।

আবুল হাশেম বলেন, এবাদত কবুলের অন্যতম শর্ত হলো- ‘হালাল পথে উপার্জন’ -এই কথাকে স্মরণ করে আমি প্রায় ১০ বছর ধরে এই বাদাম বিক্রি করেই জীবন সংসার চালাচ্ছি। আল্লাহ পাকের কাছে শুকরিয়া বাকি জীবনটা যেন আল্লাহ আমাকে এভাবে হালাল পথে উপার্জন করে সুখে-শান্তিতে চালান এই আশা করছি।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –